পিঠ ব্যথা (Mid Back Pain): কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

মিড ব্যাক পেইনের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন—

• মাংসপেশী ও লিগামেন্টে টান

• দীর্ঘক্ষণ ভুল ভঙ্গিতে বসে কাজ করা

• থোরাসিক স্পাইনের (Thoracic Spine) সমস্যা

• ভারী জিনিস তোলা বা হঠাৎ মোচড় দেওয়া

• দুর্ঘটনা বা পড়ে যাওয়া

• বয়সজনিত স্পাইনাল ডিজেনারেশন

অনেক ক্ষেত্রে সমস্যাটি ধীরে ধীরে বাড়ে, তাই শুরুতেই গুরুত্ব দেওয়া জরুরি।

• ব্যথার স্থান: ঘাড় এবং কোমরের মধ্যবর্তী অংশে, সাধারণত কাঁধের ব্লেডের পিছনে বা মাঝখানে ব্যথা।

• ব্যথার ধরন: ভোঁতা ব্যথা (Dull ache), শক্ত ভাব (Stiffness), বা কখনও কখনও তীব্র, ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথা।

• গতিশীলতা হ্রাস: বিশেষ করে মোচড়ানোর (Twisting) বা নিচু হওয়ার সময় পিঠ শক্ত ও সীমিত মনে হতে পারে।

• শ্বাস-প্রশ্বাস: গুরুতর ক্ষেত্রে, গভীর শ্বাস নেওয়ার সময়ও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

• ক্লান্তি: দীর্ঘ সময় একই অবস্থানে থাকলে পেশী দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায়।

• কয়েক সপ্তাহের বেশি উপসর্গ থাকা।

• পূর্ণ শারীরিক বিশ্রামে ব্যথার তীব্রতা উপশম না হওয়া।

• দাঁড়িয়ে থাকা/ হাঁটাচলার সাথে ব্যথা তীব্রতর হলে।

• হাতে বা পায়ে অসাড়তা বা দুর্বলতা।

• শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র অসুবিধা।

• জ্বর বা অজানা ওজন হ্রাস।

বর্তমানে অধিকাংশ Mid Back Pain-এর ক্ষেত্রেই অপারেশন ছাড়াই ভালো ফল পাওয়া যায়। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসার মধ্যে থাকতে পারে—

• প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ চিকিৎসা

• ফিজিওথেরাপি ও স্পাইন রিহ্যাবিলিটেশন

• বসা, দাঁড়ানো ও কাজের ভঙ্গি সংশোধন

• নিয়মিত ব্যায়াম ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন

• খুব সীমিত ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসা

সঠিক রোগ নির্ণয়ই সফল চিকিৎসার ভিত্তি।

অনেকেই মাঝখানের পিঠ ব্যথাকে “সাধারণ ব্যথা” ভেবে ব্যথানাশক খেয়ে থাকেন। এতে সাময়িক আরাম মিললেও মূল সমস্যা থেকে যায়। দীর্ঘদিন অবহেলা করলে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যেতে পারে এবং চিকিৎসা কঠিন হতে পারে।

আপনি যদি মাঝখানের পিঠ ব্যথায় ভুগে থাকেন, দেরি না করে একজন অর্থোপেডিক ও স্পাইন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সঠিক চিকিৎসা আপনাকে স্বাভাবিক জীবনে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।