প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি দশ জন মানুষের মধ্যে অন্তত আট জন তাদের জীবনের কোন না কোন সময় পিঠ/কোমর ব্যথায় ভুগে থাকেন। দীর্ঘমেয়াদী কোমর/পিঠ ব্যথা মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস করে এবং জীবনমানের অবনমন ঘটায়।
জীবন যাপনের ধরণ বা লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে কোমর/পিঠ ব্যথা থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ লাভ করা সম্ভব।
নিম্ন পিঠের ব্যথার কারণগুলি প্রায়শই মেরুদণ্ডের গঠন এবং ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত:
পেশি এবং লিগামেন্টের টান: ভারী জিনিস ভুলভাবে তোলা বা হঠাৎ বাঁকানোর ফলে পেশি বা লিগামেন্টে টান লাগা।
ভুল অঙ্গবিন্যাস (Poor Posture): দীর্ঘ সময় ধরে ভুল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানো।
অতিরিক্ত ওজন: শরীরের অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ড এবং পিঠের পেশিগুলির উপর চাপ বাড়ায়।
শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: দুর্বল পিঠ এবং পেটের পেশি (Core Muscles) মেরুদণ্ডকে সঠিক সাপোর্ট দিতে পারে না।
হাড়ের সমস্যা: বয়সজনিত ক্ষয়, ডিস্ক প্রোল্যাপস (Disc Prolapse বা সায়াটিকা), বা আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা।
ব্যথার স্থান: কোমরের ঠিক নিচে বা মাঝখানে ব্যথা। ব্যথা নিতম্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে।
ব্যথার ধরন: ভোঁতা ব্যথা (Aching), তীব্র তীক্ষ্ণ ব্যথা (Sharp Pain) অথবা জ্বালাপোড়া অনুভব করা।
নড়াচড়ার সাথে বৃদ্ধি: হাঁটা, বাঁকা হওয়া বা ভারী জিনিস তোলার সময় ব্যথা বৃদ্ধি পাওয়া।
শক্ত হয়ে যাওয়া: ঘুম থেকে ওঠার পর বা দীর্ঘ সময় বসার পর পিঠের অংশ শক্ত মনে হওয়া।
সায়াটিকা (Sciatica): যদি ব্যথা নিতম্ব বা পা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় এবং ঝিনঝিন বা অসাড়তা সৃষ্টি করে, তবে তা স্নায়ুর উপর চাপের লক্ষণ হতে পারে।
সোজা হয়ে দাড়ান, এক দিকে হেলে দাড়াবেন না।
দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষেত্রে কিছু সময় পর পর পায়ের ভর পরিবর্তন করুন।
বসার জন্য শক্ত কাঠের চেয়ার ব্যবহার করুন।
চেয়ারে সোজা হয়ে বসবেন, কোমরের পেছনে ছোট বালিশ/কুশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
একটানা দীর্ঘসময় বসে থাকবেন না। অন্তত আধঘন্টায় একবার উঠে দাড়ান।
শক্ত, সমান বিছানায় ঘুমাবেন।
ঘাড়ের নিচে একটি পাতলা বালিশ ব্যবহার করুন।
বিছানা থেকে ওঠার সময় পাশ ফিরে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে উঠুন।
সামনে ঝুকে নিচু হয়ে কোন ভারী কাজ করবেন না।
ভারী কিছু তুলতে হলে কোমর সোজা রেখে বস্তুটিকে শরীরের কাছাকাছি শক্ত করে ধরুন এবং পায়ের উপর ভর করে উঠে দাড়ান।
ধুমপান পরিহার করুন।
ডায়বেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বডি মাস ইনডেক্স অনুযায়ী সঠিক ওজন বজায় রাখতে সচেষ্ট হোন।
হালকা গরম সেঁক দিন।
ফিজিওথেরাপি এবং ব্যায়াম:
কোর শক্তিশালীকরণ: পিঠের ব্যথা কমানোর জন্য পেটের ও পিঠের পেশি শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি।
স্ট্রেচিং: পেশি শিথিল করতে এবং নমনীয়তা বাড়াতে নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম করা।
কয়েক সপ্তাহের বেশি উপসর্গ থাকা।
পূর্ণ শারীরিক বিশ্রামে ব্যথার তীব্রতা উপশম না হওয়া।
দাঁড়িয়ে থাকা/ হাঁটাচলার সাথে ব্যথা তীব্রতর হলে।
ব্যথা কোমর থেকে উরু এবং পায়ের মাংসপেশীতে ছড়িয়ে পড়লে।
পায়ের পাতা, আঙুল অবশ লাগা/ঝিনঝিন করা।
আনুষঙ্গিক অন্যান্য উপসর্গ যেমন, জ্বর থাকা, শরীরের ওজন ক্রমাগত কমে যাওয়া, মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
Important Note
YouTube videos are gathered from diverse content creators and channels.
These videos are intended solely for educational and demonstration purposes.
We do not assert any copyright nor take responsibility for the provided content.
This material is not a substitute for treatment.