মাঝারি পিঠের ব্যথা বলতে কাঁধের ব্লেডগুলির পিছনের এলাকা (Thoracic Spine), অর্থাৎ ঘাড় এবং কোমরের মধ্যবর্তী অংশকে বোঝায়। নিম্ন পিঠের ব্যথার তুলনায় এটি কম সাধারণ হলেও, এই অংশে ব্যথা দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
যদি আপনার পিঠে তীব্র ব্যথা বা নড়াচড়ার সীমাবদ্ধতা দেখা দেয়, তবে দ্রুত একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
মাঝারি পিঠের ব্যথার কারণগুলি প্রায়শই অঙ্গবিন্যাস এবং জীবনযাত্রার অভ্যাসের সাথে যুক্ত:
ভুল অঙ্গবিন্যাস (Poor Posture): দীর্ঘ সময় ধরে ঝুঁকে বসা (Slouching), বিশেষ করে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়, থোরাসিক স্পাইনের উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করে।
পেশীর দুর্বলতা বা টান: পিঠ, কাঁধ বা বুকের পেশী দুর্বল বা শক্ত থাকলে মেরুদণ্ডে অসম চাপ পড়ে।
ভারী জিনিস তোলা: ভুল কৌশলে বা হঠাৎ ভারী জিনিস তুললে পেশি এবং লিগামেন্টে টান পড়তে পারে।
স্কোলিওসিস বা কাইফোসিস (Spinal Deformities): মেরুদণ্ডের অস্বাভাবিক বক্রতা (যেমন পিঠ কুঁজো হওয়া বা মেরুদণ্ড একদিকে বেঁকে যাওয়া) এই অঞ্চলের ব্যথার কারণ হতে পারে।
ডিস্ক সমস্যা: যদিও কম হয়, কিন্তু থোরাসিক ডিস্ক হার্নিয়েশনও ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
ব্যথার স্থান: ঘাড় এবং কোমরের মধ্যবর্তী অংশে, সাধারণত কাঁধের ব্লেডের পিছনে বা মাঝখানে ব্যথা।
ব্যথার ধরন: ভোঁতা ব্যথা (Dull ache), শক্ত ভাব (Stiffness), বা কখনও কখনও তীব্র, ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথা।
গতিশীলতা হ্রাস: বিশেষ করে মোচড়ানোর (Twisting) বা নিচু হওয়ার সময় পিঠ শক্ত ও সীমিত মনে হতে পারে।
শ্বাস-প্রশ্বাস: গুরুতর ক্ষেত্রে, গভীর শ্বাস নেওয়ার সময়ও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
ক্লান্তি: দীর্ঘ সময় একই অবস্থানে থাকলে পেশী দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায়।
সোজা হয়ে দাড়ান, এক দিকে হেলে দাড়াবেন না।
দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষেত্রে কিছু সময় পর পর পায়ের ভর পরিবর্তন করুন।
বসার জন্য শক্ত কাঠের চেয়ার ব্যবহার করুন।
চেয়ারে সোজা হয়ে বসবেন, কোমরের পেছনে ছোট বালিশ/কুশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
একটানা দীর্ঘসময় বসে থাকবেন না। অন্তত আধঘন্টায় একবার উঠে দাড়ান।
শক্ত, সমান বিছানায় ঘুমাবেন।
ঘাড়ের নিচে একটি পাতলা বালিশ ব্যবহার করুন।
বিছানা থেকে ওঠার সময় পাশ ফিরে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে উঠুন।
সামনে ঝুকে নিচু হয়ে কোন ভারী কাজ করবেন না।
ভারী কিছু তুলতে হলে কোমর সোজা রেখে বস্তুটিকে শরীরের কাছাকাছি শক্ত করে ধরুন এবং পায়ের উপর ভর করে উঠে দাড়ান।
ধুমপান পরিহার করুন।
ডায়বেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বডি মাস ইনডেক্স অনুযায়ী সঠিক ওজন বজায় রাখতে সচেষ্ট হোন।
হালকা গরম সেঁক দিন।
ফিজিওথেরাপি এবং ব্যায়াম:
কোর শক্তিশালীকরণ: পিঠের ব্যথা কমানোর জন্য পেটের ও পিঠের পেশি শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি।
স্ট্রেচিং: পেশি শিথিল করতে এবং নমনীয়তা বাড়াতে নিয়মিত স্ট্রেচিং ব্যায়াম করা।
কয়েক সপ্তাহের বেশি উপসর্গ থাকা।
পূর্ণ শারীরিক বিশ্রামে ব্যথার তীব্রতা উপশম না হওয়া।
দাঁড়িয়ে থাকা/ হাঁটাচলার সাথে ব্যথা তীব্রতর হলে।
হাতে বা পায়ে অসাড়তা বা দুর্বলতা।
শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র অসুবিধা।
জ্বর বা অজানা ওজন হ্রাস।
Important Note
YouTube videos are gathered from diverse content creators and channels.
These videos are intended solely for educational and demonstration purposes.
We do not assert any copyright nor take responsibility for the provided content.
This material is not a substitute for treatment.