ফ্র্যাকচার বা হাড় ভাঙা একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। হাড় ভাঙার চিকিৎসা নিয়ে আমাদের সমাজে নানা ধরণের কুসংস্কার প্রচলিত আছে। কবিরাজি অপচিকিৎসায় অনেকেরই হাত পা নষ্ট হয়ে যায়। প্রাথমিক করনীয় সম্পন্ন করার পর যথাযথ চিকিৎসার জন্য অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ফ্র্যাকচার বা হাড় ভাঙা বলতে হাড় এবং কার্টিলেজ বা তরুণাস্থির আঘাত বা ভেঙে যাওয়াকে বোঝায়।
ট্রমা বা আঘাত যেমন, রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্ট, পড়ে যাওয়া, ফিজিক্যাল এসল্ট বা মারামারি। বয়স্ক রোগীদের অথবা অস্টীওপোরসিস/ হাড় ক্ষয়ের রোগীদের ক্ষেত্রে ট্রিভিয়াল ট্রমা বা সামান্য আঘাতেও ফ্র্যাকচার হতে পারে।
ওপেন ফ্র্যাকচার (চামড়া ভেদ করে বাইরে চলে আসা)
ক্লোজড ফ্র্যাকচার (চামড়ায় ক্ষত না হওয়া)
এক্সরে
সিটি স্ক্যান
বোন স্ক্যান
এম আর আই
একজন ফ্র্যাকচার/ট্রমার রোগীকে চিকিৎসা প্রদান শুরু করতে হয় এডভান্সড ট্রমা লাইফ সাপোর্ট বা ATLS প্রটোকলের মাধ্যমে।
ওপেন ফ্র্যাকচার সাধারণত wound contamination থাকে। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের সময়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার পানিতে আঘাতপ্রাপ্ত স্থান ধুয়ে ফেলতে হয়। ভেঙে যাওয়া অঙ্গটিকে অচল করার জন্য প্লাস্টার বা শক্ত কিছু দিয়ে বাঁধা, রক্তপাত বন্ধ করার জন্য উঁচু করে রাখা, চাপ দিয়ে ধরা বা টুর্নিকেট দেয়া।
ক্লোজড ফ্র্যাকচার এর ক্ষেত্রে প্রাথমিভাবে আক্রান্ত অঙ্গটিকে অচল করার জন্য প্লাস্টার করা হয়। পরবর্তিতে ধরন অনুযায়ী প্লাস্টার অথবা অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
মূলত হাড় ভেঙে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে সবচে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ, আক্রান্ত অঙ্গকে অচল করার জন্য প্লাস্টার করা, শক্ত সাপোর্ট দেয়া অথবা পায়ের ক্ষেত্রে দুই পা একসাথে করে বেধে দেয়া যেতে পারে।
কোন অবস্থাতেই অত্যন্ত শক্ত করে চটা বাধা কিংবা অনভিজ্ঞ হাতে টাইট প্লাস্টার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কবিরাজি করে চটা বাধা কিংবা অত্যন্ত শক্তভাবে প্লাস্টার করার ফলে আক্রান্ত অঙ্গের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত অথবা পা পচে যেতে পারে।
Important Note
Aimed at providing insights into various health issues
Not intended for treatment purposes